সারা বছর মানুষের পরিসেবায় বদ্ধপরিকর
মাশিলা গ্রাম পঞ্চায়েত
আজ সাফল্যের শীর্ষে মাশিলা গ্রাম পঞ্চায়েত ।
মাশিলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বসবাসকারী মানুষ যখন অন্যান্য পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে উন্নয়নমূলক কাজে অনেকটাই বঞ্চিত, অবহেলিত তখন পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে তারা বর্তমান পরিচালিত বোর্ডের অর্থাৎ বামচালিত বোর্ডের উপর আস্থা হারিয়ে নবরূপে আস্থাশীল হয় শাসক দলের প্রশাসনের উপর। ২০১৮ সালে নির্বাচিত ও গঠিত হয় একক সংখ্যাগরিষ্ঠ শাসক দলের বোর্ড যার প্রতিনিধিদের একমাত্র বিশ্বস্ত সুযোগ্য প্রধান হিসাবে বিবেচিত হন স্বনামধন্য গোৱাই খাঁন। বহুজন পরিচিত এবং দীর্ঘদিন পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ হিসাবে মানুষের কাজ করার সুবাদে তার পঞ্চায়েত পরিচালনা খুব একটা কঠিন না হলেও কাজ ছিল বিস্তর। দায়িত্ব মাখায় তুলে নিয়ে তিনি আর কোন দিকে না তাকিয়ে সরকারী অনুদান এর মাধ্যমে এলাকা উন্নয়ন, সামাজিক ও মানবিক উন্নয়ন ইত্যাদির উপর মনোনিবেশ করেন সমস্ত নির্বাচিত সহকর্মীদের সাথে নিয়ে। যথা কর্ম তথা ফল। এক এক করে এলাকায় সমস্ত কাঁচা রাস্তা, ইটপাতা রাস্তা, ভাঙ্গাচোরা রাস্তা রূপান্তরিত হয় ঢালাই রাস্তাতে, এলাকার অন্ধকার রাস্তাতে বসে আলো, প্রতিটি মহল্লায় পরিশ্রুত পানীয় জলের মেশিন, প্রতি ঘরে ঘরে জল সরবরাহের সংযোগ নেওয়ার সুযোগ, নিকাশী নালাগুলির পাকাপাকি ব্যবস্থা থেকে নিয়মিত সংস্কার এর উপর জোর দেওয়া হয়। পাশাপাশি চলে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ। জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নের জন্য আলমপুর মির্জাপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পুননির্মান ও তাতে সর্বাধিক পরিসেবা নিয়মিতকরণ এর ব্যবস্থা করা। মাশিলা পশ্চিমপাড়ায় সরকারী জমি খুঁজে নূতন একটি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ার উদ্যোগ গ্রহন। বহু দরবার করেও প্রশাসনিক কোন স্তরের আর্থিক সহযোগীতা ছাড়াই, শুধুমাত্র এলাকাকে বৃষ্টির জমা জলের প্লাবনের হাত থেকে বাঁচাতে মাশিলা সরস্বতী খাল যা প্রায় জলধারন ক্ষমতা হারিয়েছিল অত্যাধুনিক মেশিন দ্বারা লক্ষ্যাধিক টাকা নিজস্ব তহবিল থেকে খরচ করে পুনরায় কাটিয়ে তার সংস্কার করা ছিল অন্যতম সাফল্যের।
সুর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত ২৪ ঘন্টায় ৭ দিন প্রধান প্রতিটি এলাকায় নিয়মিত যান, লক্ষ্য রাখেন, মানুষের অভাব অভিযোগ আজও মন দিয়ে শোনেন এবং প্রয়োজনীয় পরিসেবা তুলে দিতে প্রাণপাত করেন, এই
তাঁর প্রতিদিনের দিনলিপি। সরকার নির্ধারিত দুয়ারে সরকার শিবিরের আয়োজন তথ্য পরিসেবা প্রদানে বিশেষ নজর, সারা বছর বিভিন্ন সরকারী ভাতা প্রদান, প্রতি ঘরে স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার নির্মান এ বিশেষ উদ্যোগ গ্রহন, মহিলাদের আত্মনির্ভর করতে প্রায় ১৫০ টি স্বনির্ভর গ্রুপ গঠন করা, ১০০ দিনের কাজ এর কর্মদিবস সৃষ্টি ও তার রুপায়ন, ১০০ দিন ছাড়াও বিশেষ প্রয়োজনে এলাকার মানুষের প্রয়োজনে এলাকার শ্রমিকদের কাজ প্রদান, আবাস যোজনায় প্রকৃত প্রাপকদের তালিকা প্রস্তুতকরণ ও তার যথোপযুক্ত সহায়তা দান, বেশ কয়েকটি কমিউনিটি টয়লেট নির্মান, প্রতিটি নিকাশী নালার মুখে ভূষিত জল পরিশোধনের সোকপিট স্থাপন, পঞ্চায়েত ভবন বর্ধিতকরণসহ নবরূপে সংস্কার, স্কুলগুলির সংস্কার, শিশু উদ্যান নির্মান, ধারাবাহিক প্রথা ও রাস্তা সংস্কার ইত্যাদি বিষয়ে মাশিলা গ্রাম পঞ্চায়েত আজ উন্নয়নের শীর্ষে। নিরন্তর মানুষের সাথে নিবিড় যোগাযোগ, প্রতিদিন অফিসে সময়দান, পঞ্চায়েত সমিতিতে নিয়মিত যাতায়াত ও দরবার করা তাঁর অন্যতম অভ্যাস যাতে মানুষের জন্য কাজ করতে সুবিধে হয়। ২০১৯ - ২০ সালে মারন ভাইরাসের কবলে নিজের জীবন বিপন্ন করে মানুষের পাশে থাকা থেকে শুরু করে প্রতিকূল পরিবেশে সবার জন্য ভ্যাকসিনের বন্দোবস্ত, শুধুমাত্র মাশিলা নয় পার্শ্ববর্তী অনেক মানুষ আজ উপকৃত তাঁর ব্যবস্থাপনায়। আজ ৯৫ শতাংশ মহিলা লক্ষ্মীর ভান্ডারের সুবিধা পান, অপুষ্টি জনিত মানুষ উপকৃত হচ্ছেন পুষ্টিকর খাবার পঞ্চায়েত থেকে লাভ করে, দরিদ্রসীমার নীচে মানুষ আজও বিশেষ জি আর স্লিপে চাল-গম পান, প্রধানের সহযোগীতায় পঞ্চায়েত খোলা থাকে কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, যুবশ্রী দের সুলভে পরিসেবা লাভ করতে এছাড়াও নিজে দপ্তরে উপস্থিত থাকেন সপার্ষদ মানুষের জন্য। ২০২১ সালে পর পর আমফান থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে কোমর বেঁধে মোকাবিলাতে প্রধানের ভূমিকা অনস্বীকার্য। যারা ক্ষয় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন তাদের পুনর্নির্বাসন করার যথাযথ উদ্যোগ, ত্রিপল বিলি, ত্রান বিলিকরণ কাজে দিনপাত করা মানুষ আজও মনে রেখেছে।
তার সময়কালে আজও আড়ম্বর সহকারে সমস্ত ধর্মীয় অনুষ্ঠান, উৎসব, পূজা, মেলা, খেলা পালিত হয় সগৌরবে ও সানন্দে। শুধু তাই নয় মানুষের অভাব অভিযোগ জানানো ও তার লিপিবদ্ধকরণ করার জন্য বছরে দুবার প্রতিটি বুথে 'পাড়া বৈঠক' ও পঞ্চায়েত আাইন মেনে 'গ্রাম সংসদ সভা' আয়োজিত হয়। তাঁর ভাবনা উন্নয়নের প্রস্তাব উঠে আসুক পাড়া থেকে, মাটি থেকে। বিধায়ক, সাংসদ, জেলা পারিষদ, পঞ্চায়েত সমিতির প্রতিটি ক্ষেত্র থেকে উন্নয়নের বরাদ্দ বন্টন অর্জন করে তা নামিয়ে এনে তা থেকে গভীর নলকূপ, নিকাশী পাকা নালা শৌচাগার নির্মান, নতুন রাস্তা নির্মান এর মত কাজ করা হয় প্রধানের একনিষ্ট প্রয়াসের মাধ্যমে। তাঁর উন্নয়ন থেমে থাকেনি কখনও। দৈনিক বর্জ্য তুলে তার প্রক্রিয়াকরণ করে এলাকা পরিচ্ছন্ন রোগমুক্ত রাখার উদ্যোগ সম্প্রতি কাঁধে নিয়েছেন। পঞ্চায়েতের তিনটি গাড়ী নিয়মিত জঞ্জাল অপসারণের কাজ করে। এই বর্জ্য প্রক্রিয়াকরনের একটি স্থায়ী ইউনিট তাঁর উদ্যোগে মাশিলা পশ্চিমপাড়ায় নির্মিত হচ্ছে তাঁর আমলে। দৈনিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনিটরিং, মারন রোগ মোকাবিলা, জনসচেতনতা, প্রতিরোধ, মশা ধ্বংসের স্প্রে ছেটানো, প্রতি গৃহে স্বাস্থ্য বিষয়ক তদারকির জন্য গ্রাম সম্পদ কর্মীদের মাঠে নেমে কাজ চলে নিত্যদিন।
একদিকে পঞ্চায়েতের মাধ্যমে এলাকার সার্বিক উন্নয়ন অন্যদিকে নিজস্ব আয়বৃদ্ধির দিকেও সমান জোর দেওয়া হয়েছে। প্রধানের ভাবনা, গ্রামের উন্নয়নে শুধুমাত্র সরকারী সহায়তা নয় গ্রামের মানুষের ও অবদান থাকুক। তাই প্রতিটি মানুষকে তিনি তাদের ভূমি ও গৃহকর বার্ষিক প্রদানের আর্জি জানিয়েছেন। সর্বগুনবিচারে মাশিলা হোক সবার মাঝে উল্লেখযোগ্য এই আশায় তিনি বুক বাঁধেন। প্রধান হিসাবে বিগত ৫ বছরের অভিজ্ঞতাকে আগামীদিনে কাজে লাগিয়ে মানুষের জন্য কাজ করে যেতে চান মাননীয় গোরাই খাঁন। কাজ করতে বহু বাধা জটিলতা আইনগত জট সামনে আসে কিন্তু মানুষের শুভ আশীর্বাদে তা কাটিয়ে উঠে কাজ করেন। তাঁর একটাই জনগণের কাছে আশ্বাস মাশিলা হোক জনগণের পঞ্চায়েত তাই আমাদের স্লোগান পঞ্চায়েত সর্বক্ষণ মানুষের পাশে, মানুষের সাথে। কাজ অনেক বাকী এখনও, বহু প্রতিকূল পরিবেশে, চাপে, কিছু অসামাজিক মানুষের ঈর্ষান্বিত নজর ও কুৎসাকে পাশ কাটিয়ে আগামীতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মানবিক দিককে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। বেদখলদারী উচ্ছেদ, জমি সংক্রান্ত জটিলতা, অপার্থিব মামলা মকদ্দমার ঝঞ্ঝাট সামনে আসে আসবেও। মানুষের সেবা করার ব্রত নিয়ে তার কাছে নতিস্বীকার করলে হবেনা। লক্ষ্য একটাই মানব সমাজের উন্নয়ন।
আগামীতে যে যে পরিকল্পনা তালিকায় রয়েছে তা হল, মূল সংযোগকারী দুটি প্রধান রাস্তার সংস্কার ও উন্নয়ন, প্রতি গৃহে জলের লাইন, প্রতি গৃহে শৌচাগার, গৃহহীনদের আবাস যোজনায় গৃহপ্রদান, সবার আর্থসামাজিক উন্নয়ন, এলাকার সার্বিক সৌন্দর্যায়ন, সরস্বতী খাল সংস্কার, স্বনির্ভরতায় কৃষি ও পশুপালনে আগ্রহ ও সহায়তা দান, পানীয় জলের আরও বেশকিছু মেশিন স্থাপন, ও ডি এফ গ্রাম পঞ্চায়েতের মর্যাদা রক্ষা, সার্বজনীন শৌচাগার স্থাপন ইত্যাদি।
সবাই ভালো থাকুক, সুস্থ থাকুক এই কামনা করি।
-
রাজ্যঃ: পশ্চিমবঙ্গ
-
জেলা: : হাওড়া
-
সমগ্র এলাকাঃ : ৩০ বর্গকিমি.
-
মোট জনসংখ্যা: : ১৮১৩৫
-
পুরুষ জনসংখ্যা: : ৮৯৬২
-
মহিলা জনসংখ্যা: : ৯১৭৩